এক স্বর্ণকারের মৃত্যুর পর তার পরিবার খুব সংকটময় অবস্থায় পড়ে গেলো। নিত্যপ্রয়োজনীয় জিনিস কেনারও সামর্থ্য হারিয়েছিল তারা। এমন অবস্থায় স্বর্ণকারের স্ত্রী তার ছেলে গুবলুর হাতে একটি হীরের হার দিয়ে বললো; ‘বাবা এটাকে তোমার কাকার কাছে নিয়ে যাও, এবং কাকাকে বলবে এটা বিক্রি করে প্রাপ্ত অর্থ দিতে।গুবলু তার মায়ের কথা মতো হারটি নিয়ে তার কাকার কাছে গেল।কাকা হারটিকে কিছুক্ষন পরিক্ষা নিরীক্ষা করে বললো;‘ তোমার মাকে বলবে এখন বাজার খুব খারাপ চলছে, তাই কিছুদিন পর এটা বিক্রি করলে ভালো অর্থ পাওয়া যাবে। গুবলু চলে যাবার সময় তার কাকা তাকে ডেকে তার হাতে কিছু টাকা দিয়ে বললেন ‘কাল থেকে তুমি প্রতিদিন আমার দোকানে আসবে, এতে তোমার কাজও শেখা হবে আর হারের দাম কখন বাড়ছে সেটাও জানতে পারবে।
 
গুবলু পরদিন থেকে কাকার দোকানে কাজ শিখতে লাগলো।
 
এদিকে দিন গড়িয়ে মাস যায় গুবলু দিনে দিনে খুব নামকরা জহুরী হয়ে উঠলো।দেশ বিদেশের অনেক মানুষ তার কাছে গহনা, হিরে যাচাই করতে আসে।এমন একদিন কাকা তাকে বললো ‘হীরের হারের বাজার মূল্য এখন খুব বেশি, তুমি হারটা নিয়ে এসো।গুবলু বাড়ি ফিরে যেয়ে তার মায়ের কাছ থেকে হীরের হারটি নিয়ে পরীক্ষা করতে লাগলো। এমন সময় তার বাড়িতে তার কাকা এসে তাকে হারের কথা বললো, গুবলু লজ্জিত ভাবে কাকার কাছে যেয়ে বললো ‘কাকা আমি পরীক্ষা করে দেখলাম আসলে এই হারটি নকল হীরের।কাকা মুচকি হেসে বললো এটা আমি প্রথমদিনেই বুঝেছিলাম, কিন্তু সেদিন যদি আমি এই কথাটা বলতাম তাহলে তুমি আর তোমার মা আমায় ভুল বুঝতে। এখন তোমার প্রকৃত জ্ঞান হয়েছে তাই তুমি নিজেই বুঝতে পেয়েছো।
 
আসলে এই পৃথিবীতে জ্ঞান ছাড়া সবকিছুই এই হীরের হারের মতো মিথ্যে। প্রকৃত জ্ঞান ছাড়া কোনো কিছুই বিচার করা সম্ভব না, তাই একটু ভুল বোঝাবুঝির কারণে কত সম্পর্ক আজ শেষ হয়ে গেছে।
CR007553CU00992

full-width