গত ৩১শে মার্চ ২০১৯ইং তারিখে বিকেল ৩টা নাগাদ হঠাৎ শিলাবৃষ্টি উত্তর ত্রিপুরা জেলার অনেক এলাকাকে খারাপভাবে প্রভাবিত করে। এই শিলাবৃষ্টির কারণে অনেক ঘরবাড়ি ব্যাপকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে এবং স্থানীয়রা সরকারি সাহায্যের জন্য ছুটছে।
![](https://blogger.googleusercontent.com/img/b/R29vZ2xl/AVvXsEgDlbyi1dDcghlOeOjDTvUw3TvRBMIOG5RN2uElr-xvhS6KLEedcXBENfYm9rZYB0BmAX-QegkPjuI570EOLYjv0EC3z2cZsJOIiEdAqeTJmNM2XUX6Dm9muNTnuqi_shwQg80cn0flhRfV0pG6LurL_rT6W4ROvxYE6gkaubPUGtR_XQHco7ocQ-c6/s16000/20190404_150156.jpg)
শিলাবৃষ্টির পরের দিন আমি সংশ্লিষ্ট পশ্চিম দেওয়ানপাশা গ্রাম পঞ্চায়েত পরিদর্শন করি, যা আমার গ্রামের আইনি পরামর্শ ও সহায়তা কেন্দ্রের অধীনে পড়ে এবং উক্ত গ্রাম পঞ্চায়েতের বাসিন্দাদের বর্তমান সমস্যাগুলির বিষয়ে আলোচনা করি এবং ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারগুলিকে সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দেই।
পশ্চিম দেওয়ানপাশা গ্রাম পঞ্চায়েত কর্তৃপক্ষের সম্মতি ও সহযোগিতা অনুসারে, ৩রা এপ্রিল থেকে আমি ক্ষতিগ্রস্থ পরিবারগুলির পর্যবেক্ষনের কাজ শুরু করি এবং প্রয়োজনীয় নথিপত্র এবং আবেদনপত্র সহ সাহায্য প্রার্থীদের তালিকা প্রস্তুত করি। (যেমন ১. আধার কার্ড ২. রেশন কার্ড ৩. ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট।) ক্ষতিগ্রস্থ পরিবারগুলির উল্লিখিত পর্যবেক্ষন এবং প্রয়োজনীয় নথিপত্র এবং আবেদনপত্র সহ তালিকা প্রস্তুত করে ৭ই এপ্রিল ২০১৯ইং তারিখে পাঁচ দিনের মধ্যে সম্পন্ন করে এবং প্রয়োজনীয় নথিপত্র হাফলং তপশিলের তহসিলদার এর কাছে জমা করি এবং মহকুমা শাসক, ধর্মনগর এবং জেলা সচিব, জেলা আইনি পরিষেবা কর্তৃপক্ষ, উত্তর ত্রিপুরা জেলা, ধর্মনগরের কাছে সদয় তথ্য এবং পরবর্তী পদক্ষেপের জন্য অনুরোধ পত্র জমা করি।
পর্যবেক্ষন চলাকালীন, আমি দেখেছি ৩৩১টি পরিবারের মধ্যে ৩০টি পরিবার শিলাবৃষ্টিতে অত্যন্ত ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছেন এবং তাদের যত তাড়াতাড়ি সম্ভব সংশ্লিষ্ট সরকারি দপ্তর থেকে যথাযথ আর্থিক সহায়তা প্রয়োজন।
0 মন্তব্যসমূহ