ভিকটিম ও নাবালক শিশুকে উদ্ধার!

GK Dutta
0

৩রা মে ২০১৮ইং সকাল ৭টা ৩০মিনিট নাগাদ আমি হাফলং চা বাগানের একজন বাসিন্দার কাছ থেকে একটি ফোন পাই, জানা গেছে যে প্রায় দশ বছর আগে হাফলং চা বাগানের বাসিন্দা শ্রীমতি সাবিত্রী কেওট এর মেয়ে শ্রীমতি সঙ্গীতা দেবী এর দক্ষিণ পশ্চিম দিল্লির শ্রী: রাজেশ কুমারের সাথে বিবাহ হয়, বিয়ের পরে তিনি প্রায়শই তার স্বামীর দ্বারা অত্যাচারিত ও নির্যাতিত হন কিন্তু আর্থিক অক্ষমতার কারণে তিনি পালাতে ব্যর্থ হন। গত বছর অর্থাৎ ২০১৭ সালে কোনওভাবে তিনি তার স্বামীকে বোঝাতে সক্ষম হন এবং তার এক নাবালক সন্তানকে (ছেলে) নিয়ে তার মায়ের সাথে দেখা করতে হাফলং চা বাগানে আসেন এবং তারপর তিনি তার শ্বশুর বাড়িতে ফিরে না যাওয়ার সিদ্ধান্ত নেন, পরে তিনি জানতে পারেন যে তার স্বামী রাজেশ কুমার পকসো আইনের একটি মামলায় জড়িত ছিলেন এবং তিনি পুলিশ হেফাজতে রয়েছেন। বর্তমানে তিনি হাফলং চা বাগানে দিনমজুরের কাজে নিযুক্ত হন এবং তার জীবন যাপন শুরু করেন। ফেব্রুয়ারী ২০১৮ সালে তার স্বামী আদালতের মাধ্যমে জামিনে মুক্তি পান, তিনি তার সাথে ফোনে যোগাযোগ করেন এবং তাকে দিল্লিতে ফিরে যেতে বলেন কিন্তু তিনি ফিরে যেতে অস্বীকার করেন, ১লা মে ২০১৮ তারিখে তিনি হাফলং চা বাগানে পৌঁছান এবং শ্রীমতি সঙ্গীতা দেবীর আত্মীয়দের বোঝান যে তাকে তার স্বামীর সাথে ফিরে যেতে যেন তারা বাধ্য করেন এবং শ্রী: রাজেশ কুমারের প্ররোচনায় হাফলং চা বাগানে স্থানীয় লোকজন তাকে তার স্বামীর সাথে যেতে বাধ্য করে এবং তাকে হুমকি দেয় বলে অভিযোগ করেন। সকাল ৮টার দিকে আমি একজন মহিলা পিএলভি, রিংকু নাথের সাথে ঘটনা স্থলে পৌঁছাই এবং স্থানীয় লোকদের সাথে কথা বলার চেষ্টা করি কিন্তু আমরা স্থানীয়দের বোঝাতে ব্যর্থ হই এবং আমি ধর্মনগর মহিলা থানার সাথে ফোনে যোগাযোগ করি তারা দ্রুত ঘটনাস্থলে পৌঁছে স্থানীয় লোকজনের সাথে আলোচনা করেন কিন্তু তাতেও কোন কাজ না হওয়ায়, পরে পুলিশের সহায়তায় আমরা নির্যাতিতা শ্রীমতি: সঙ্গীতা দেবী এবং তার নাবালক সন্তানকে (পুত্র) উদ্ধার করি।

উল্লিখিত বিষয়টি চেয়ারম্যান, মহকুমা আইনসেবা কমিটি, ধর্মনগর গুচরে আনা হয় এবং শ্রীমতি: সঙ্গীতা দেবী এবং তার নাবালক শিশু লক্ষ শর্মাকে ডিআইএসই, উত্তর ত্রিপুরার সহায়তায় যথাযথ সুরক্ষা এবং আশ্রয় প্রদান করা হয়। এছাড়াও ধর্মনগর মহিলা থানায় একটি লিখিত অভিযোগ জমা দেওয়া হয়েছে।

full-width

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

0মন্তব্যসমূহ

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন (0)

#buttons=(Ok, Go it!) #days=(20)

Our website uses cookies to enhance your experience. Check Now
Ok, Go it!