বিগত ১০ই মার্চ ২০১৫ইং বিয়ের ঠিক ১১মাসের মধ্যেই শ্রীপুর গ্রামের ৩নং ওয়ার্ডের বাসিন্দা শ্রীঃ নকুল দাসের কন্যা পুনম দাসকে একই গ্রামের ৫নং ওয়ার্ডের বাসিন্দা আশিষ দাস(স্বামী), বিনতা দাস(শাশুড়ি) ও মনিকা দাস(ননদ)পনের দায়ে নির্মম ভাবে পুড়িয়ে হত্যা করে। ঘটনার দিনই পুনম দাসের পিতা শ্রীঃ নকুল দাস, আশিষ দাস ও তার পরিবারের উপর পনের দায়ে হত্যার অভি্যোগ এনে ধর্মনগর থানায় মামলা দায়ের করেন। দীর্ঘ ১৪মাসের সুনানী শেষে মাননীয় বিচারপতি, উত্তর ত্রিপুরা জেলা আদালতে বিগত ০৫ই জুলাই ২০১৭ইং পুনম দাসকে হত্যার দায়ে শাশুড়ি বিনতা দাসকে দোষী সাব্যস্ত করেন এবং ০৬ই জুলাই ২০১৭ইং আমৃত্যু কারাবাসের শাস্তি ঘোষনা করেন।
দুর্বল চার্য সীট ও উপযুক্ত প্রমানের অভাবে মামলা থেকে রেহাই দেওয়া হয় আশিষ দাস(স্বামী)কে। যদিও পুলিশ এর সহযোগিতায় চার্য-শীট তৈরির সময়ই তৃতীয় অভিযুক্ত মনিকা দাস(ননদ)কে কোন এক অজ্ঞাত কারনে মামলার তদন্ত থেকে রেহাই দেওয়া হয়। আমরা মাননীয় আদালতের বিচারকে আন্তরিক সন্মান জানাই এবং ন্যায় ব্যাবস্থার প্রতি আমাদের আস্থা রেখে আগামী পদক্ষেপ গ্রহণের আশা ব্যাক্ত করছি।
এই জয় কেবল মাত্র আমার বা মৃত পুনম দাসের পরিবারের নয়, এই জয় আমার, আপনার, সবার জয়, এই জয় সকল ন্যায় প্রেমী জনগণের জয়। এই সুদীর্ঘ সংগ্রামে কেবল মাত্র বিফলতা এবং পরাজয়ের দায়বদ্ধতা শুধু আমার আর কারো নয়। তাই এই জয়ের কৃতিত্ব শুধু আমার একার নয়, এই জয়ের কৃতিত্ব সবার। এই কৃতিত্ব তাঁদের যাহার আমাদের বিভিন্ন ভাবে সাহায্য করেছেন, এই কৃতিত্ব তাঁদেরও যাহার আমাদের উপেক্ষা ও কটাক্ষ করেছেন, এবং এই কৃতিত্বের অংশিদার তাঁরাও যাহার আমাকে বিভিন্ন ভাবে অপমান ও অবদমিত করেছেন।
আমি আমার ব্যাক্তিগত তরফ থেকে এবং মৃতঃ পুনম দাসের পরিবারের পক্ষ থেকে আন্তরিক ধন্যবাদ জানাই সকল স্তরের জনগনকে, ধন্যবাদ জানাই শ্রীপুর ও দেওয়ানপাশা গ্রাম পঞ্চায়েত কতৃপক্ষকে, ধন্যবাদ জানাই সকল সামাজিক সংস্থাকে, ধন্যবাদ জানাই রাজ্যের সকল প্রিন্ট ও ইলেকট্রনিক সংবাদ মাধ্যম ও সংবাদ কর্মীদের যারা বিভিন্ন সময়ে প্রয়োজনীয় সংবাদ প্রকাশের মাধ্যমে আমাদের সাহায্য করেছেন।



full-width