২৪শে
সেপ্টেম্বর, ২০২৫ তারিখে,
জেলা আইনিসেবা কর্তৃপক্ষ (DLSA), উত্তর
ত্রিপুরা-র অধীনে শিশুদের জন্য আইন সহায়তা ইউনিট (LSUC) এবং
জেলা প্রতিবন্ধী পুনর্বাসন কেন্দ্র (DDRC), উত্তর ত্রিপুরা-র
যৌথ উদ্যোগে, শিশুদের মধ্যে প্রতিবন্ধকতা দ্রুত শনাক্তকরণের
লক্ষ্যে একটি গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ গ্রহণ করা হয়। যুবরাজনগর
আরডি ব্লকের অন্তর্গত বুংনুং প্রাথমিক স্বাস্থ্যকেন্দ্রে (PHC) একটি সচেতনতামূলক ও চিকিৎসা শিবির আয়োজন করা হয়, যার
উদ্দেশ্য ছিল স্থানীয় জনগণকে প্রয়োজনীয় তথ্য ও সরকারি পরিষেবার সুবিধা সম্পর্কে
সচেতন করে তোলা।
.jpg)
এই
উদ্যোগের মূল লক্ষ্য ছিল শিশুদের মধ্যে বিকাশজনিত সমস্যাগুলো প্রাথমিক পর্যায়ে
চিহ্নিত করা, যাতে দ্রুত
চিকিৎসা ও সহায়তা প্রদান করা যায়। শিবিরে মোট ৫৪ জন স্থানীয় বাসিন্দা অংশগ্রহণ
করেন, যা শিশুদের কল্যাণে স্থানীয় জনগণের সক্রিয় অংশগ্রহণ
ও আগ্রহকে প্রতিফলিত করে। এদের মধ্যে ১৩ জন উপকারভোগীকে শনাক্ত করে বিভিন্ন সরকারি
প্রকল্পের আওতায় সহায়তার জন্য নিবন্ধিত করা হয়।
এই শিবিরে
ড. রাজা নাগ ও ড. কাবেরী নাথ প্রধান রিসোর্স
পার্সন (Resource Persons) হিসেবে উপস্থিত
ছিলেন, যাঁদের চিকিৎসাগত অভিজ্ঞতা ও সহানুভূতিশীল
দৃষ্টিভঙ্গি অভিভাবকদের মধ্যে প্রাথমিক শনাক্তকরণের গুরুত্ব এবং প্রাপ্ত
সুযোগ-সুবিধা সম্পর্কে সচেতনতা গড়ে তুলতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে।
এছাড়াও, প্যারা লিগ্যাল ভলান্টিয়ার শ্রী
রাজীব দেবনাথ শিবিরে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেন। তিনি পরিবারগুলিকে তাঁদের
আইনি অধিকার, সরকারি কল্যাণমূলক প্রকল্পে কীভাবে আবেদন করতে
হয়, এবং ব্যাংক অ্যাকাউন্ট খোলার মাধ্যমে আর্থিক সুবিধা
কীভাবে পাওয়া যায়, সে সম্পর্কে সহায়তা প্রদান করেন।
DLSA ও DDRC-এর এই যৌথ প্রচেষ্টা শুধুমাত্র একটি চিকিৎসা
শিবিরে সীমাবদ্ধ ছিল না, বরং এটি সরকারি পরিষেবা ও জনগণের
মধ্যে একটি কার্যকর সেতুবন্ধন হিসেবে কাজ করেছে। এটি একটি সমন্বিত ও
অন্তর্ভুক্তিমূলক উন্নয়নের প্রশংসনীয় পদক্ষেপ, যা নিশ্চিত
করে যে কোনও শিশুই যেন অজ্ঞতা বা সংস্থানের অভাবে পিছিয়ে না পড়ে।
এ
ধরনের উদ্যোগ শিশুদের ও তাঁদের পরিবারের জন্য একটি সমতার ভিত্তিতে সহায়ক পরিবেশ
গড়ে তোলার ক্ষেত্রে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।