এক বিড়াল আর এক শিয়াল, কে কত রাজনীতি বোঝে তাই নিয়ে একদিন গল্প করছিল।
শিয়াল বলল, “যত বড় বিপদই আসুক, আমার মত লোকের পরোয়া করার কোন কারণ দেখি না। অজস্র কায়দা-কসরৎ জানি আমি। আমার কোন রকম ক্ষতি করবার আগে সেই সব কাটাতে পারতে হবে।” “আমি বরং, আশা করছি তেমন কিছু হবে না, তবু,” বলল সে, “বিড়াল-দিদি, ধরুন এক্ষুনি এখানে একটা আক্রমণের ঘটনা ঘটে গেল। আপনি তখন নিজেকে বাঁচানোর জন্য কোন কোন ব্যবস্থা নেবেন সে নিয়ে ভেবে রেখেছেন কিছু?”

“নাঃ, শিয়াল-দাদা”, উত্তর দিল বিড়াল, “আমি ত কেবল একটাই উপায় জানি। সেইটা কাজ না করলে আমি গেছি, শেষ একেবারে।”

“খারাপ লাগছে আপনার জন্য,” উত্তর দিল শিয়াল, “মন থেকে বলছি। আর, আপনার কোন কাজে লাগতে পারলে খুবই খুশীও হতাম আমি। কিন্তু কি জানেন, প্রতিবেশী আপনি, বোঝেনই ত, যা দিনকাল পড়েছে এখন, কাউকেই আর বিশ্বাস করা যায়না। সেই যে বলে না, নিজের ব্যবস্থা নিজেরই করে নিতে লাগে।”

শিয়ালের কথাগুলো মুখ থেকে খসতে না খসতেই তাদের কানে এল এক পাল শিকারী কুকুরের আওয়াজ। ভীষণ চিৎকার করতে করতে কুকুরের দল এসে ঝাঁপিয়ে পড়ল তাদের উপর। বিড়াল, একটা কায়দাই ত জানত সে, দৌড়ে একটা গাছে উঠে পড়ল। অনেক উঁচুতে মগডালের নিরাপদ আশ্রয়ে বসে দেখতে লাগল শিয়ালের অবস্থা। হরেক রকমের কায়দা কসরৎ করতে গিয়ে শিয়াল আর কিছুতেই কুকুরগুলোর নজরের বাইরে যেতে পারল না। কুকুরগুলো তাকে ঘিরে ধরে টুকরো টুকরো করে ফেলল।

সব পন্থা অল্প-অল্প জানার থেকে একটি পন্থা ভালোভাবে জানাটাই শ্রেয়। সময়ে একটি পন্থাই প্রতিপক্ষকে বিচলিত করে দিতে পারে।

CR007781CV01914
full-width