আমার এখন আর এসব শিষ্টাচার আর ভালোলাগেনা, আজকাল প্রায়ই বসে আওড়াই, “ইহার চেয়ে হতেম যদি আরব বেদুইনি”। বেশ একটা সুস্থ-সবল অসভ্যতা।
ইচ্ছে করে দিন-রাত্র, বিচার-আচার, বিবেক-বুদ্ধি নিয়ে কতক গুলো বহু কেলে জীর্নতার মধ্যে শরীর মনকে অকালে জড়াগ্রস্থ না করে, একটা দ্বিধাহীন, চিন্তাহীন প্রান-মনের সমস্থ বাসনা ভাবনা, ভালোই হোক, মন্দই হোক, বেশ অসংশয়, অসংকোচ এবং প্রসস্থ যেন হয়। প্রথার সঙ্গে বুদ্ধির, বুদ্ধির সঙ্গে ইচ্ছার, ইচ্ছার সঙ্গে কাজের, কোন রকম অহনিশি মিটি-মিটি না ঘটে। একবার যদি এই রুদ্ধ জীবনকে খুব উদ্দাম, উৎসৃঙ্কল ভাবে ছেড়ে দিতে পারতাম, একেবারে দিক-বিদিকে ঢেউ খেলিয়ে, ঝড় বইয়ে দিতাম। একটা বলিষ্ট ঘোড়ার মতো কেবল আপনার লঘুত্বের আনন্দ-আবেগে ছুটে যেতাম।
কিন্তু আমি যে বেদুইনি নই বাঙ্গাঁলী। আমি ঘরের কোনে বসে খুৎ-খুৎ করবো, বিচার করবো, তর্ক করবো, মনটাকে নিয়ে একবার উলটাবো-একবার পালটাবো-যেমন করে মাছ ভাজে, ফুটন্ত তেলে একবার এপিট চিড়বিড় করে উটবে, একবার ওপিট চিড়বিড় করে উটবে…?
যাকগে যখন রিতিমতো অসভ্য হওয়া অসাধ্য-তখন রিতিমতো সভ্য হবার চেষ্টা করাই সংগত। সভ্যতা এবং বর্বরতার মধ্যে লড়াই বাধাবার প্রয়োজন নেই… কি বলো..?



full-width